আজ ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: কন্টেইনারের নীচে চাপা পড়া প্রাইভেট কার

ফৌজদারহাটে লরির নীচে দুমড়েমুচড়ে গেছে গাড়ি, প্রাণে বাঁচলো যাত্রী


চাটগাঁর সংবাদ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণহীন লরির নিচে প্রাইভেট কার চাপা পড়ে শিশুসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল দশটায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পৌনে এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় হাইওয়ে পুলিশ আটকে পড়া প্রাইভেট কারের চালক ও চার যাত্রীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, সকাল দশটার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কারটিকে চাপা দেয় একই দিকে যেতে থাকা একটি লরি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে থাকেন। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় ১১ টার দিকে চাপা পড়া লরিটি সরিয়ে প্রাইভেটকারে থাকা চালক ও চার যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।

হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করে এক প্রবাসী তার পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে ফৌজারহাটের বন্দর সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনের ইউটার্নে গাড়িটি মোড় ঘুরিয়ে ঢাকামুখী সড়কের উত্তর দিকে উঠতে যায়। কিন্তু মোড় ঘোরানোর সময় বৃষ্টির কারণে অল্প দূরত্বে থাকা লরিটি দেখতে পারেনি প্রাইভেট কারের চালক। এ সময় প্রাইভেট কারটি হঠাৎ সামনে চলে আসায় লরির চালক ব্রেক করার কারণে লরির সামনের অংশ মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ‘আইল্যান্ডের‘ ওপর উঠে যায়। কিন্তু পিছনের অংশ সামনের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কন্টেইনারসহ প্রাইভেটকারটিকে চাপা দেয়।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। একটু পরেই হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম এসে পৌঁছে। রেকার এবং ক্রেনের সহায়তায় লরিটিকে আমরা সরাতে সক্ষম হই। এই ঘটনায় প্রাইভেট কারের চালক সামান্য আহত হলেও বাকিরা অক্ষত ছিল। পাঁচ যাত্রীর মধ্যে একটি ছোট বাচ্চাও ছিল। সবাইকে অক্ষত অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা এটা অলৌকিক ঘটনার মতো মনে হচ্ছে আমাদের কাছে। সকাল থেকে আমরা এখনো কিছু খাইনি। তবে তাদের জীবিত উদ্ধার করতে পেরে এখন কোনো কষ্টকে কষ্ট মনে হচ্ছে না।

বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করি। পরবর্তীতে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির দুটি ক্রেনের মাধ্যমে লরিটিকে উপর দিকে সরিয়ে প্রাইভেটকারটি বের করা হয়। যাত্রীরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে ক্রেন নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার কারণে তাদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্ভবত প্রাইভেট কারের যাত্রীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল। যেকারণে বারবার সড়কের লেন পরিবর্তন করছিল। গাড়িটি প্রথমে উত্তর দিকে কিছুদূর গিয়ে আবার ইউটার্ন নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু ফৌজদারহাটের ইউটার্নে গাড়িটি আবারও ঢাকামুখী সড়কের উত্তর দিকে যাওয়ার জন্য মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সম্ভবত, তারা ভাটিয়ারী ক্যান্টনমেন্ট সড়ক দিয়ে যাবে নাকি চট্টগ্রাম শহর দিয়ে যাবে সেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল।

তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর